লাইফস্টাইল:
সকলের ধারনা গাজরের আদি জন্মস্থান ইউরোপ ও এশিয়া। কিন্তু পাশ্চাত্য সমীক্ষায় বলা হচ্ছে: এটি কাশ্মীরের গ্রামাঞ্চলে ও পশ্চিম হিমালয় প্রদেশে ৫-৯ হাজার ফুট উঁচুতে জন্মে।
বৈদিক সুক্তিতে গাজরের উল্লেখ না থাকলেও মুনসংহিতায় এর উল্লেখ দেখা যায়। গাজরের সংস্কৃত নাম গৃঞ্জন, হিন্দী ভাষা-ভাষি অঞ্চলে গাজর নামে পরিচিত। ভারতের অধিকাংশ স্থনে গাজর নামেই পরিচিত।
ইউরোপ, আমেরিকার মতো শীতপ্রধান দেশে গাজরের ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। সাধারণতঃ বর্ষজীবী উদ্ভিত হলেও কোথাও কোথাও বৎসরাধিককাল বা ২ বৎসর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
গাছ ৩-৪ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে দেখা যায়, পাতাগুলো পক্ষবৎ বহুভাবে বিভক্ত, বিভক্ত অংশগুলি ২-৩ ইঞ্চি লম্বা এবং শক্ত লোমযুক্ত, ছত্রাকারে গুচ্ছবদ্ধভাবে প্রস্ফুঠিত হয়, ক্ষুদ্র ফলগুলি রোমশ ও সাদা রঙের। মূল মূলোর মত, তবে রঙটা গাঢ় অথবা হালকা কমলালেবু রঙের এবং গাজর লম্বায় ১ ফুট পর্যন্ত হতে দেখা যায়, তবে সাধারণতঃ ৫-৬ ইঞ্চিই হয়ে থাকে।
গাজরের ভেষজ গুনাগুণঃ
- গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। পরে সেটি চোখের রেটিনায় গিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি রাতকানা রোগেও গাজর একটি আদর্শ খাদ্য উপাদান।
- গাজরের কিউমেরিন উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- এতে পর্যাপ্ত পরিমানে থাকা খাদ্যআঁশ আপনার হজমশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এড়াতেও গাজর উপকারী।
- নানা রকম পরীক্ষায় দেখা গেছে গাজর স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। গাজরের বিদ্যমান ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল উপাদান ক্যানসারের ক্ষতিকর কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি করে গাজর রাখতে পারেন।
- কাট ছেড়ার সংক্রমণ রোধে গাজর খুবই উপকারী। খানিকটা গাজর ব্লেন্ড করে কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিলেও উপকার পাবেন।
- গাজরে থাকা ক্যারোটিনয়েড হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
- আপনার দেহের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য গাজরকে ডায়েট হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
- ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও পটাশিয়াম না থাকায় ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এই শীতে গাজরের জুস খেলে ত্বক থাকবে নরম, কোমল আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
- নিয়মিত গাজর খেলে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক ভালো থাকবে। গাজর খেলে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা পায় এবং ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।
- গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যেগুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় গাজরের রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ফেনীতে ‘হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস
- » বৃষ্টিতে কী খাব, কী খাব না
- » মেদ-ভুঁড়ি ঠেকাতে যা করবেন
- » তেলে চুল সুন্দর
- » প্রযুক্তি নিয়ে বড় স্বপ্ন গ্রেড এন্ড স্মার্ট টেকনোলজীর
- » ফেনীতে লায়ন্স ক্লাবের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা
- » উজ্জল ত্বকের জন্য বাড়িতে তৈরি করুন টোনার
- » ২০১৭ সালের মধ্যে সোনাগাজীতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে -মেঃ জেঃ মঈন উদ্দিন
- » প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে রাজপথে নেতাকর্মীরা
- » মুশফিকের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন মাশরাফি